‘রোবটিক্স এন্ড মাইক্রোকন্ট্রোলার’ এর বই এখন বাজারে
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির পাশাপাশি রোবোটিক্স বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের ব্যপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা ক্রমশঃ রোবোটিক্সের বিভিন্ন প্রজেক্টে আগ্রহী হয়ে উঠছে এবং তারা সফলভাবে ছোটোখাটো রোবোট তৈরি করতেও সক্ষম হচ্ছে। রোবোট তৈরির জন্য প্রয়োজন মাইক্রোকন্ট্রোলার এবং সংশ্লিষ্ট নানা প্রোগ্রামিং। তথ্য প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বিষয়ক প্রকাশনার শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিসটেক পাবলিকেশন্স বিষয়টি আমলে নিয়ে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় রোবোটিক্সের উপর একটি বই প্রকাশ করেছে। বইটির লেখকগণ হচ্ছেন নতুন প্রজন্মের দুই তরুণ গবেষক যারা হাতে কলমে রোবোটিক্স বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। রিনি ঈশান খুশবু ও এ.বি.এম রেজাউল ইসলাম লিখিত রোবোটিক্স এন্ড মাইক্রোপেরিফেরালস্ বইটি একুশে বইমেলা উপলক্ষে সিসটেক কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। এখানে মাইক্রোকন্ট্রোলারের বেসিক বিষয় ও রোবোটিক্স প্রোগ্রামিং এর বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজবোধ্য ও প্রাঞ্জল ভাষায় এ সম্পর্কে আগ্রহীদের জন্য বর্ণিত হয়েছে। বইটি বাংলাদেশে রোবোটিক্স চর্চার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবার দাবী রাখে। উল্লেখ্য বইয়ের লেখিকা নাসায় রোবোট প্রদর্শনীতে নিজের তৈরি রোবোট নিয়ে অংশগ্রহন করেছেন।
বইটির মূল বৈশিষ্ট্যই হলো এটি একেবারে হাতে-কলমে শেখানোর মতে করে রচিত। বইটিতে বাহুল্যতাকে একেবারেই পরিহার করা হয়েছে। ১২৮ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১২০ টাকা।
কোনো বিষয়ে জানতে অথবা মতামত ব্যক্ত করতে নিচের নাম, মোবাইল, ইমেইল এর ঘরে তথ্য প্রদান করে এবং মতামত এর ঘরে মতামত প্রদান করে পোস্ট বাটনে ক্লিক করুন।
লাল তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণীয়। *
বর্তমানে আমাদের দেশে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি আবশ্যিক হওয়াতে এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই ব্যাপক আগ্রহের পাশাপাশি নতুন অনেক বিষয় যেমন- এইচটিএমএল এবং সি প্রোগ্রামিং নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ল্যাবে পর্যাপ্ত কমপিউটার না থাকায় শিক্ষার্থীরা হাতে-কলেমে শিখতে পারছেনা। সরাসরি হাতে-কলমে শিখতে পারলে ভালোভাবে বিষয়টি বুঝার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং প্রোগ্রামিং এর প্রতি আগ্রহী হতো। ‘প্রযুক্তি ছড়িয়ে যাক সবখানে’- এ শ্লোগান নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রযুক্তি আলো। বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের তরুণ শিক্ষার্থীরা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা হিসাবে ভলেন্টারি মানসিকতা নিয়ে প্রযুক্তি আলোর সদস্য হিসাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলেমে শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তাদেরকে নিয়ে একটি টীম গঠন করা হয়েছে।